এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভেন মিকসার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম তাঁর বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশ ভূমি রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তাসহ প্রত্যাবাসন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং সমস্যা সমাধানে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। তারা জোরপূর্বক বিতাড়িত তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। তবে এখনও তারা কোন কর্মকান্ড শুরু করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থে এস্তোনিয়ার বিনিয়োগ কামনা করে বলেন, তাঁর সরকার একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এসব অঞ্চলে বিনিয়োগ কামনা করছি। কারণ এখানে বিপুল সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি বিভিন্ন খাতও আমরা অনুসন্ধান করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ভূমি স্বল্পতা, বিপুল জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধির এবং দারিদ্র্যতার হার ২২ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যতার হার আমরা আরো কমিয়ে আনতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এস্তোনিয়ার সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।
বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, আইটি খাতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সবশেষ সকাল ...
পাঠকের মতামত